অসমে এনআরসি, ত্রিপুরায় বিক্ষোভ এসইউসিআই(সি)-র

2 - মিনিট |

আগরতলার বটতলায় এক বিক্ষোভ সভা আয়োজন করেছে৷ বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য পেশ করেছেন দলের রাজ্য সাংগঠনিক কমিটির সদস্য সঞ্জয় চৌধুরী এবং সম্পাদক অরুণ কুমার ভৌমিক

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

অসমে নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নবায়নে প্রায় ১৯ লক্ষ মানুষের নাম বাদ পড়ায় কড়া ভাষায় সমালোচনা করেছে এসইউসিআই(সি)৷ সংগঠনের বক্তারা আজ বিক্ষোভ সভায় নাগরিকপঞ্জির বিরোধিতা করেছেন৷

অসমে ১৯-লক্ষের বেশি মানুষকে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি থেকে বাদ দেওয়ার বিরুদ্ধে আজ এসইউসিআই(সি) দলের কেন্দ্রীয় কমিটি সারা ভারত প্রতিবাদ দিবসের ডাক দিয়েছে৷ তারই অঙ্গ হিসাবে দলের রাজ্য সাংগঠনিক কমিটির উদ্যোগে এদিন বিকাল ৫-টায় আগরতলার বটতলায় এক বিক্ষোভ সভা আয়োজন করেছে৷ বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য পেশ করেছেন দলের রাজ্য সাংগঠনিক কমিটির সদস্য সঞ্জয় চৌধুরী এবং সম্পাদক অরুণ কুমার ভৌমিক৷ তাঁদের বক্তব্য, ১৯৫১ সালের পর দেশের কোথাও আর নাগরিকপঞ্জি নবায়ন করা হয়নি ৷

উসিআই(সি) দলের কেন্দ্রীয় কমিটি সারা ভারত প্রতিবাদ দিবসের ডাক দিয়েছে৷ তারই অঙ্গ হিসাবে দলের রাজ্য সাংগঠনিক কমিটির উদ্যোগে এদিন বিকাল ৫-টায় আগরতলার বটতলায় এক বিক্ষোভ সভা আয়োজন করেছে৷ বিক্ষোভ সভায় বক্তব্য পেশ করেছেন দলের রাজ্য সাংগঠনিক কমিটির সদস্য সঞ্জয় চৌধুরী এবং সম্পাদক অরুণ কুমার ভৌমিক৷ তাঁদের বক্তব্য, ১৯৫১ সালের পর দেশের কোথাও আর নাগরিকপঞ্জি নবায়ন করা হয়নি ৷

কিন্তু অসমের উগ্র প্রাদেশিকতাবাদী শক্তির দাবির কাছে নতি স্বীকার করে তৎকালীন কেন্দ্রীয় ও অসমের কংগ্রেস সরকার নাগরিকপঞ্জি নবায়নের কথা ঘোষণা করেছিল ৷ পাশাপাশি বিদেশি শনাক্ত করতে ট্রাইবুনালও গঠন করেছিল ৷ কিন্তু ট্রাইবুনালের মারফত পরবর্তী অগপ (আঞ্চলিক রাজনৈতক দল অসম গণ পরিষদ) সরকার বেশিরভাগ মানুষকে বিদেশি হিসাবে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হলে তৎকালীন আসু (সারা অসম ছাত্র ইউনিয়ন) নেতা সর্বানন্দ সনোয়াল ট্রাইবুনাল বাতিল করতে সুপ্রিমকোর্টে মামলা করেন, বলেন সংগঠনের সম্পাদক অরুণ কুমার ভৌমিক ৷ 


তাঁর কথায়, ট্রাইবুনাল বাতিল এবং নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের ফলে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে প্রমাণ করার দায় মানুষের নিজের উপর বর্তায় ৷ কারণ, ১৯৫১ সালের নাগরিকপঞ্জি অথবা ১৯৭১ সালের পূর্বের ভোটার লিস্টে নাম না থাকলে নাগরিকপঞ্জিতে নাম উঠবে না, সেই দুটি দলিল অসমে অস্তিত্বহীন ৷ তাঁর দাবি, এমতাবস্থায় নিরীহ সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হচ্ছেন ৷ বর্তমান কেন্দ্রীয় ও অসম সরকার ভোটব্যাঙ্ক তৈরি করার উদ্দেশ্যে এবং জাত-পাত-সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কানি দিয়ে জনগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতেই এই নাগরিকপঞ্জি নবায়ন করেছে ৷ তাঁর অভিযোগ, এভাবেই ১৯ লক্ষের বেশি মানুষকে রাষ্ট্রহীন করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে ৷ 


এদিন সংগঠন দাবি তুলে বলেছে, কোনও অজুহাতেই অসমে ১৯ লক্ষ মানুষের নাগরিকত্ব হরণ করা চলবে না ৷ শুধু তা-ই নয়, কেন্দ্রীয় সরকারকে সারা দেশে নাগরিক পঞ্জিকরণ করার ভয় দেখানো বন্ধ করতে হবে ৷ সংগঠনের আহ্বান, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের নাগরিকপঞ্জিকরণের্ নামে জনগণকে সাম্প্রদায়িকভাবে বিভাজনের দিকে ঠেলে দেওয়ার চক্রান্তের বিরুদ্ধে দলমত নির্বিশেষে সকল মানুষ মিলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলুন৷ 

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news