জল-পুলিশের দল শরাইঘাটের দুই সেতু-সহ পাণ্ডুঘাট থেকে উত্তর গুয়াহাটি পর্যন্ত সমস্ত ঘাটে জলপথে অভিযান চালিয়েছে। রাজ্যের সমস্ত রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট জওয়ানরা তীক্ষ্ণ নজর রেখে অভিযান জোরদার করেছেন।
আসন্ন প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে সংঘটিত না হয়, তার প্রতি লক্ষ্য রেখে গোটা রাজ্যে সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। হাতে আর একদিন, অসমের রাজধানী গুয়াহাটি-সহ আন্তর্জাতিক এবং আন্তঃরাজ্য সীমান্তবর্তী সমস্ত স্পর্শকাতর এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। এছাড়া স্পর্শকাতর এলাকাগুলোতে বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে পুলিশের টহলদারি।
এর সঙ্গে সংগতি রেখে রাজধানী গুয়াহাটির রেলস্টেশন, বিমানবন্দরে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট সুরক্ষা বাহিনী। প্রতিটি যানবাহনে তন্নতন্ন করে পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি ট্রেন ও স্টেশন চত্বরে যাত্রীদের লটবহর ইত্যাদি যাচাই করছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। রাজধানী গুয়াহাটির জল ও স্থলপথের ওপর পুলিশ সতর্ক নজর রাখছে। গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আজ জল-পুলিশের দল শরাইঘাটের দুই সেতু-সহ পাণ্ডুঘাট থেকে উত্তর গুয়াহাটি পর্যন্ত সমস্ত ঘাটে জলপথে অভিযান চালিয়েছে।
এদিকে রাজ্যের সমস্ত রেলওয়ে স্টেশন, বিমানবন্দরে সংশ্লিষ্ট জওয়ানরা তীক্ষ্ণ নজর রেখে অভিযান জোরদার করেছেন। গত দিন-তিনেক ধরে প্রতিদিন যানবাহনের তালাশি নেওয়া হচ্ছে। টহলদারি পুলিশের বক্তব্য, জল বা স্থলপথে কোনও উগ্রপন্থী বা সন্ত্রাসবাদী মহানগরে প্রবেশ করে যাতে প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন কোনও নাশকতাজনিত ঘটনা সংগঠিত করতে না পারে তার জন্য বিশেষ এই ব্যবস্থা। এ ধরনের অভিযান ২৬ তারিখ প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন পর্যন্ত চলবে। জানা গেছে, অনুরূপ অভিযান নিম্ন থেকে উজান অসমের সমস্ত জেলায় চালিয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।
অন্যদিকে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে এ ধরনের অভিযানে বৃহস্পতিবার গুয়াহাটি রেলস্টেশনে উদ্ধার হয়েছে ৩২০ রাউন্ড পয়েন্ট ৩২ পিস্তল-সহ সক্রিয় গুলি। গুয়াহাটি রেলওয়ে স্টেশনে নিয়োজিত পুলিশ (আরপিএফ) এবং সিআরপিএফ-এর যৌথ অভিযানে কামরূপ এক্সপ্রেসের এস ১ কামরা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে পিস্তল-সহ গুলি। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এর সঙ্গে জনৈক অভিনন্দন কুমার নামের যুবককে গ্রেফতার করেছে রেল পুলিশ। সে পিস্তল ও কার্তুজগুলি নিয়ে ডিমাপুর থেকে হাওড়া যাচ্ছিল।