ত্রিপুরার আমবাসা ছাত্রী নিবাসে মশারি থেকে অ্যালার্জি,অসুস্থ ১৫ পড়ুয়া অসুস্থ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন
ত্রিপুরার ধলাই জেলাকে আগেই ভারত সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রক হাই ম্যালেরিয়াপ্রবন জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ম্যালেরিয়ার হাত থেকে এই এলাকার লোকদের রক্ষা করতে তাই ওষুধযুক্ত মশারি জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। সেই মশারি থেকেই অ্যালার্জি এবং সঙ্গে সঙ্গেই অসুস্থ হয়ে পড়ে আমবাসা আবাসিকার ১৫ জন পড়ুয়া। সোমবার রাতে খাবার খেয়ে প্রতিদিনকার মতোই মশারি টাঙিয়ে শুয়েছিল আবাসিকার ছাত্রীরা। এরপর হটাৎই অসুস্থ হয়ে পড়ে আবাসিকের ১৫ জন ছাত্রী। তাঁদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে ভরতি করা হয়েছে, চলছে চিকিৎসা।
ঘটনাটি ঘটেছে ধলাই জেলার আমবাসা মহকুমাধীন উত্তর নালিছড়া তফশিলি ছাত্রী নিবাসে। ছাত্রীরা জানিয়েছে, প্রতিদিনের মতো গতকাল তারা রাতের খাবার খেয়ে বিছানায় ঘুমাতে যায়। তখন ছাত্রী নিবাসের ওয়ার্ডেন স্বপ্না চক্রবর্তী যথারীতি নির্দেশ দেন মশারি টাঙিয়ে যে যার বিছানায় শুয়ে পড়তে। তারাও যথারীতি মশারি টাঙিয়ে শুয়ে পড়ে। কিন্তু বিড়ম্বনা ঘটে কিছুক্ষণ পরই। আচমকা এক এক করে ছাত্রীদের শরীরে চুলকানি শুরু হয়। তারা তাদের অস্বস্তির কথা ওয়ার্ডেন স্বপ্না চক্রবর্তীকে জানায়।
এদিকে খবর ছড়িয়ে পরে অভিভাবক মহলে। শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। ছাত্রী নিবাসে ছুটে আসেন স্থানীয় মানুষ এবং কয়েকজন অভিভাবক। তাঁরা অসুস্থ ছাত্রীদের নিয়ে যান ধলাই জেলা হাসপাতালে। ইত্যাবসরে তাদের শরীর লাল হয়ে ফুলে গিয়েছে। তা দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের ভরতি করে তড়িঘড়ি চিকিৎসা শুরু করেন।
হাসপাতাল সূত্রের খবর ওষুধযুক্ত মশারি ব্যহারের কারণে তাদের শরীরে অ্যালার্জি হয়েছে। অসুস্থদের ওষুধ ও সেলাইন দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে সেগুলি পরীক্ষা করাও হচ্ছে বলে জানান ডা. মানস দেববর্মা।