লালকেল্লার ময়দানে আয়োজিত আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসব ২০১৯-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোহন ভাগবত জানিয়েছেন, নারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব সমাজের।
শুধুমাত্র আইন তৈরি করে নারী নির্যাতন রোখা যাবে না। আইনের প্রয়োগ যথাযথ হওয়াটা একান্ত জরুরি। এমন পরিস্থিতির থেকে বেরিয়ে আসার জন্য ছোট বয়স থেকে শিশুদের আদর্শগত শিক্ষা দেওয়াটা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক ডাঃ মোহন ভাগবত।
রবিবার দিল্লির লালকেল্লার ময়দানে আয়োজিত আন্তর্জাতিক গীতা মহোৎসব ২০১৯-এ বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোহন ভাগবত জানিয়েছেন, নারীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব সমাজের। ছোট বয়স থেকেই মহিলাদের সম্মান করানোটা শেখানো উচিত। শৈশব থেকেই সংস্কারের প্রতি নিষ্ঠাবান থাকাটা প্রয়োজন। মাতৃশক্তির সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সমাজে আইন তৈরি করেছে সরকার। আইনের ব্যবহার সঠিক ভাবে হওয়া উচিত। এখানে গাফিলতি করাটা উচিত নয়। মহিলাদের দিকে দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হওয়া উচিত। বাড়ির মধ্যে মহিলাদের সম্মান দিতে হবে। এর প্রতিফলন এসে পড়বে সমাজে।
গীতা গুরুত্ব ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তিবিশেষ নয়। গোটা মানব সভ্যতার কল্যাণে গীতার গুরুত্ব অপরিসীম। জনগণের মধ্যে গীতার প্রচারের উপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি জানিয়েছেন, সমস্ত বাঁধা অতিক্রম করে গীতার প্রচার করা উচিত। সাধু-সন্তদের আত্মবোধ বৃদ্ধিকারি গীতা ঐতিহ্যের ধারা বয়ে নিয়ে চলেছে। গোটা বিশ্বে গীতার বাণী প্রচার করতে হবে । সাধু-সন্তদের জন্য গীতার বাণী গোটা বিশ্বে প্রচারিত হচ্ছে। গীতা মণীষী স্বামী জ্ঞাননান্দ জানিয়েছেন, গীতাকে কেবলমাত্র মন্দির বা মঠে সাজিয়ে রাখলে চলবে না, তা জন সাধারণের মধ্যে পৌঁছিয়ে দিতে হবে। গীতাকে স্কুল পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। গীতার মধ্যে আধ্যাত্মিকতা থাকার পাশাপাশি মনোবল বৃদ্ধিকারি গ্রন্থ হচ্ছে গীতা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরাও এর থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছে। এদিন সভায় উপস্থিত ছিলেন লোকসভার সাংসদ ওম বিড়লা। তিনি বলেন, গীতার সার কথা যিনি আত্মস্থ করেছেন সেই ব্যক্তি সমস্ত সমস্যার সমাধান করতে পারে। কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সাধু-সন্তদের মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে বাণী প্রচারের প্রসঙ্গ তুলেছেন।