পিডব্লিউআরডি-র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাটিগড়া ও বড়খলা টেরিটরিয়াল রোড ডিভিশনের কার্যালয় উদ্বোধন কাটিগড়ায়

2 - মিনিট |

আগে সাত বিধানসভা এলাকা নিয়ে শিলচরে একটি মাত্র ডিভিশন ছিল

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

এই কার্যালয় বড়খলায়ও হতে পারত। কিন্তু তিনি নিয়ে এসেছেন কাটিগড়ায়। তিনি, কাটিগড়ার বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন যেভাবে পিছনে লেগেছিলেন, এর জন্যই পিডব্লিউআরডি ডিভিশনাল কার্যালয় কাটিগড়ায় হয়েছে। কাটিগড়া বিধানসভা এলাকার জন্য তিনি যে কাজ করছেন, এটাই তার প্রমাণ। সোমবার কাটিগড়া পিডব্লিউআরডি বিভাগের ডিভিশন কার্যালয়ের উদ্বোধনে এসে এভাবেই বিধায়ক অমরচাঁদ জৈনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন বড়খলার বিধায়ক কিশোর নাথ। 

এদিন বিকেল সাড়ে তিনটায় কাটিগড়ার চৌরঙ্গিতে অবস্থিত পূর্ত বিভাগের কার্যালয়ের পাশে নবনির্মিত ভবনে কাটিগড়া পিডব্লিউআরডি বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের কাটিগড়া ও বড়খলা টেরিটরিয়েল রোড ডিভিশনের উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন ও বড়খলার বিধায়ক কিশোর নাথ। দুই বিধায়কের পাশাপাশি বরিষ্ঠ ঠিকাদার শ্যামাপদ পাল প্রথমে ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন কার্যালয়ের। এর পর দুই বিধায়ক হল ঘরের ফিতা কেটে কার্যালয় কক্ষের উদ্বোধন করেন।

বন্দেমাতরম সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। তার পর অতিথি বরণের পর স্বাগত ভাষণ দেন পিডব্লিউআরডি-র এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার এএন শর্মা। এর পর একে একে বক্তব্য পেশ করেন ঠিকাদার সন্দীপ পাল, শামিম আহমদ, বড়খলা বিজেপি মণ্ডল সভাপতি অরিন্দম নাথ, সার্কল অফিসার জিতেন্দ্র টাইড, দক্ষিণ কাটিগড়া জেলা পরিষদ সদস্য অসীম দত্ত। এদিন বিধায়ক কিশোর নাথ তাঁর নিজের এলাকা সম্পর্কে বলতে গিয়ে জানান, ‘আমাদের বড়খলায় না সার্কল অফিস আছে, না-কোনও সাব-ডিভিশনাল অফিস আছে। আমি যখন বড়খলার বিধায়ক হয়েছিলাম, তখন বড়খলায় আমি শূন্য থেকে শুরু করি। ভালো সড়ক পর্যন্ত ছিল না। তবে আজ থেকে দুদিন পর অর্থাৎ ২৭ নভেম্বর বড়খলায় পূর্ত বিভাগের একটি সাব-ডিভিশন কার্যালয়ের উদ্বোধন হবে। তার সঙ্গে কিছুদিনের মধ্যে একটি সার্কল অফিস প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে।’ বিধায়ক কিশোর বলেন, যার জন্য তিনি গত তিন বছর থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বর্তমানে চেষ্টাটা শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে। খুব সম্ভব আগামী দুয়েক মাসের মধ্যে বড়খলায় সার্কল অফিস হবে। 

আজ ডিভিশন কার্যালয়ের উদ্বোধন করে কিশোর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, পূর্তমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বরাক এক পশ্চাদপদ অঞ্চল ছিল। একমাত্র বিজেপি সরকারের পরিবর্তনকামী মনোভাবে বরাক দ্রুত উন্নয়নের শিখরে উঠছে। উদাহরণ দিতে গিয়ে জানান, আগে বরাক থেকে গুয়াহাটি পাড়ি দিতে ১২ থেকে ১৩ ঘণ্টা সময় লাগত। এখন পাঁচ-ছয় ঘণ্টায় পৌঁছনো যায়। 

সভার অন্তিম লগ্নে কাটিগড়ার বিধায়ক অমরচাঁদ জৈন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘অসমের ডায়নামিক মন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মার জন্যই আজ কাটিগড়ায় ডিভিশন আনা সাকার হল। আগে সাত বিধানসভা এলাকা নিয়ে শিলচরে একটি মাত্র ডিভিশন ছিল। বিভাগীয় ইঞ্জিনিয়ার আগে এত কাজে ব্যস্ত থাকতেন যে, গত তিন বছরে মাসের মধ্যে কুড়ি দিন কার্যালয়ে গিয়ে পাঁচ দিনও তাঁকে পাইনি। কেন পাইনি? কারণ তাঁকে একটা নয়, সাতটি বিধানসভা এলাকার কাজ দেখতে যেতে হত।’ বিধায়ক জৈন আরও বলেন, কাটিগড়া ও বড়খলা দুটি বিধানসভা এলাকা নিয়ে ডিভিশন হওয়ায় এখন আর এই সমস্যা হবে না। বিভাগীয় তরফে এখন আর কোনও অজুহাত থাকবে না। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মিনি সেক্রেটারিয়েট বড়খলা এলকায় হবে। এর জন্য পুরো কৃতিত্বের দাবিদার বিধায়ক কিশোর নাথ। এভাবেই সতীর্থ বিধায়কের গুণগান করেন অমর জৈন। 

এছাড়া নবনির্মিত ভবন নির্মাণে পূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের ভূমিকার প্রশংসাও করেন বিধায়ক জৈন। তার পর ইঞ্জিনিয়ার প্রজেশ কুরি ধন্যবাদসূচক বক্তব্যের মাধ্যমে এদিনের উদ্বোধনী কর্মসূচি সমাপন হয়। বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ ছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির কাটিগড়া মণ্ডলের সদ্যপ্রাক্তন সভানেত্রী ববিতা পাল, যুবমোর্চা সভাপতি বাবলা দেব, ব্লক কংগ্রেস সভাপতি হুসেন আহমদ চৌধুরী, মৃদুল নাগ-সহ বিজেপির বড়খলা, কাটিগড়া ও শালচাপড়া মণ্ডলের কার্যকর্তারা।

সভা শেষে কার্যালয়ের পার্শ্ববর্তী নারায়ণ মন্দির পরিদর্শন করেন দুই বিধায়ক। নবনির্মিত শিবমন্দিরে পূজাও করেন তাঁরা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news