নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, আদিবাসীরাও প্রভু রামকে পথ দেখিয়েছিলেন। ১৪ বছরে বনবাসে থাকার সময় আদিবাসীদের সঙ্গে জীবনযাপন করেছিলেন তিনি। অযোধ্যায় ফিরে আসার পর মর্যাদা পুরোষত্তমের মর্যাদা পেয়েছিলেন রামচন্দ্র।
আদিবাসীদের সঙ্গে জীবনযাপন করেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র বলে সোমবার জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন ঝাড়খণ্ডের গুমলায় নির্বাচনীয় জনসভায় বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র মোদি। বিপুল জন সমাগমের মাঝে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের বিরুদ্ধে মুখর হন তিনি।
এদিন নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছেন, আদিবাসীরাও প্রভু রামকে পথ দেখিয়েছিলেন। ১৪ বছরে বনবাসে থাকার সময় আদিবাসীদের সঙ্গে জীবনযাপন করেছিলেন তিনি। অযোধ্যায় ফিরে আসার পর মর্যাদা পুরোষত্তমের মর্যাদা পেয়েছিলেন রামচন্দ্র। বনবাসের সময় এই গুমলার কাছেই থাকতেন। কিন্তু কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলি রামের জন্ম নিয়ে রাজনীতি করে গিয়েছে। ভোটব্যাঙ্কের জন্য এমন করে গিয়েছে কংগ্রেস। আদিবাসী এবং ঝাড়খণ্ডের উন্নয়নের জন্য সমস্ত রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে বিজেপি। আদিবাসীদের জীবনধারণ মানের অনেক উন্নতি করা হয়েছে। আদিবাসীদের আশা ও আকাঙ্খা পূরণ করেছে। এদিন গোটা ঝাড়খণ্ডবাসীদের আহ্বান করে প্রধানমন্ত্রী বিপুল পরিমাণে ভোট দেওয়ার আহ্বান করেন। কেন্দ্র ও রাজ্যের ডবল ইঞ্জিন সরকার ঝাড়খণ্ডের অগ্রগতির জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি জানিয়েছেন, গুলমা সহ গোটা ঝাড়খণ্ডের উন্নয়নে বাঁধা সৃষ্টি করেছে কংগ্রেস ও তার সহযোগী দলগুলি। কংগ্রেস দেখানোর চেষ্টা করেছে গুমলার লোকেরা হিংসায় বিশ্বাসী। বিরশা-মুণ্ডার ধরিত্রকে কালিমালিপ্ত করতে চেয়েছে কংগ্রেস। চিরকালই এই আদর্শে বিশ্বাস করে গিয়েছে তারা। আগের সরকারগুলি গুমলাকে ভাগ্যের উপর ছেড়ে দিয়েছিল। বিজেপি এই জেলার উন্নয়ন করে গিয়েছে। এখন বিকাশের নিরিখে ভাল জায়গায় রয়েছে গুমলা। মাওবাদীদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের আগে মাওবাদীদের হিংসাত্মক ঘটনায় সাক্ষী থেকেছে এই অঞ্চল। কিন্তু বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর এই ভয়ের পরিবেশ এখন আর নেই। মাওবাদীদের নির্মূল করতে সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। মাওবাদী সমস্যাকে ব্যবহার করে খেলা খেলে গিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপির পদক্ষেপের ফলে মাওবাদ ছেড়ে বহু মানুষ মূলধারায় ফিরে এসেছে।