জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে রাশিয়া, দুদেশকে শান্তি রক্ষার আবেদন

< 1 - মিনিট |

আগেই ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনিক বিভাজন নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য— চিন, আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিল ভারত

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

জম্মু-কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়াল বন্ধু দেশ রাশিয়া। মস্কো স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, সংবিধান মেনেই জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের স্টেটাস বদল করেছে ভারত। একই সঙ্গে ভারত ও পাকিস্তান দু’দেশকেই শান্তি রক্ষার আবেদন জানায় রাশিয়া।

শনিবার রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, ‘‘সংবিধানসম্মত ভাবেই ভারত জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদার পরিবর্তন করেছে ও দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করেছে।’’ ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘‘আশা করি যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ওই এলাকার পরিস্থিতির অবনতি হবে না।’’ একইসঙ্গে রাশিয়ার ওই বিবৃতিতে উঠে এসেছে লাহোরচুক্তি ও শিমলা চুক্তির কথাও।

এর আগে চিনও পাকিস্তানের পাশে দাঁড়ায়নি। তবে মস্কোই প্রথম বলল যে, সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ খারিজ ভারতের ‘নিজস্ব’ ব্যাপার। আগেই ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল এবং জম্মু-কাশ্মীরের প্রশাসনিক বিভাজন নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ সদস্য— চিন, আমেরিকা, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং ব্রিটেনকে গোটা বিষয়টি জানিয়েছিল ভারত।

ইতিমধ্যেই, পাকিস্তানকে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিল ভারত। শুক্রবার ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে মুখপাত্র রবিশ কুমার বলেন, পাকিস্তানের উচিত বাস্তবটাকে মেনে নেওয়া।

জম্মু ও কাশ্মীরের স্পেশাল স্টেটাস তুলে নেওয়া এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার যে সিদ্ধান্ত কেন্দ্র নিয়েছে, তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ইসলামাবাদ একটি পাঁচ দফার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। তারা জানায়, ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক হ্রাস করবে তারা। এমনকি এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় ইসলামাবাদ থেকে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকেও বহিষ্কার করে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের ওই সিদ্ধান্তের পরই ভারত তাদের কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবমূল্যায়নের সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করার জন্য আবেদন জানায়। পাশাপাশি ভারতের তরফ থেকে এও দাবি করা হয় যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটিয়ে আসলে পাকিস্তান বিশ্বের দরবারে একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তুলে ধরার চেষ্টা করছে। এইভাবে ভুল বোঝানো পাকিস্তানের বন্ধ করা উচিৎ বলেও মন্তব্য করেছেন রবিশ কুমার।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news