পাঁচ ঘণ্টা বিলম্বের পর বৃহস্পতিবার গভীর রাত ১.৩০ মিনিট নাগাদ দিল্লি অভিমুখে রওনা দেয় সমঝোতা এক্সপ্রেস। অবশেষে শুক্রবার সকালে ৭৬ জন ভারতীয়-সহ ১১৭ জন যাত্রীকে নিয়ে দিল্লি পৌঁছল সমঝোতা
জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী সংবিধানের ৩৭০ ধারা অবলুপ্তির পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছে পাকিস্তান। ভারত-পাক সম্পর্ক এখন বিচ্ছেদের দোর গড়ায়। এই আবহেই বৃহস্পতিবার ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ এক্সপ্রেস’ হিসেবেই পরিচিত সমঝোতা সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেন পরিষেবা সাময়িকের জন্য বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় পাক সরকার।
দীর্ঘ নাটকের অবসান! প্রায় পাঁচ ঘন্টা বিলম্বের পর অবশেষে দিল্লি পৌঁছল সমঝোতা এক্সপ্রেস। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন ৭৬ জন ভারতীয়-সহ ১১৭ জন যাত্রী। ১১৭ জন যাত্রীর মধ্যে ৪১ জন পাকিস্তানী নাগরিক। বৃহস্পতিবার রাত আটটা নাগাদ আত্তারি রেল স্টেশন থেকে দিল্লি অভিমুখে রওনা দেওয়ার কথা ছিল সমঝোতা এক্সপ্রেসের, কিন্তু ইমিগ্রেশন চেকিংয়ের কারণে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বিলম্বের পর বৃহস্পতিবার গভীর রাত ১.৩০ মিনিট নাগাদ দিল্লি অভিমুখে রওনা দেয় সমঝোতা এক্সপ্রেস। অবশেষে শুক্রবার সকালে ৭৬ জন ভারতীয়-সহ ১১৭ জন যাত্রীকে নিয়ে দিল্লি পৌঁছল সমঝোতা এক্সপ্রেস।
যদিও, ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সমঝোতা এক্সপ্রেস ট্রেন পরিষেবা বন্ধ হয়নি। নিরাপত্তা সংক্রান্ত কারণে পাকিস্তানী ক্রু মেম্বার (চালক ও গার্ড) ভারতে আসতে চাইছেন না। সিমলা চুক্তির অধীনে ১৯৭৬ সাল থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলাচল করছে সমঝোতা এক্সপ্রেস।