৭৪ বছর তম বর্ষে পর্দাপন করল আলিপুর সার্বজনীন
রাতের তিলোত্তমায় বেশিরভাগ মানুষই মাথায় হেলমেট ছাড়া তীব্র গতিতে বাইক চালায়| পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে প্রাইভেট গাড়ির গতিও| যার জন্য চরম মূল্য দিতে হয়েছে এইসব গাড়ির সওয়ারিদের সঙ্গে বহু সাধারণ মানুষ| এসব কথা মাথায় রেখে এবার পুজোয় মানুষকে সজাগ করতে এগিয়ে এল আলিপুর সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি| এই পুজোয় তাদের থিম ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’|
এই বছর ৭৪ বছর তম বর্ষে পর্দাপন করল আলিপুর সার্বজনীন| খেলার ছলে রাতের শহরের ফাঁকা রাস্তায় মোটরবাইকে গতির প্রতিযোগিতায় নেমে বারবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে গতির নেশায় মগ্ন তরুণরা। আবার অতিরিক্ত গতির কারণে গাড়ির ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলছেন তাঁরা। ফলস্বরূপ মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন চালকরা। চালক, আরোহী ছাড়াও প্রাণ হারাচ্ছেন নিরীহ পথচারীরা। তাই জনগনকে সজাগ করতে সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ ভাবনা আলিপুর সার্বজনীনের।
মন্ডপে ঢুকলে দেখা যাবে বাইক, গাড়ির যন্ত্রাংশ, ট্রাফিক সিগনাল, হেলমেট| মোটরযানের গতি বোঝাতে গাড়ির দরজা দিয়ে প্রজাপতির আদলে তৈরি হয়েছে মানব দেহ। মাথায় তার হেলমেট। কোমরে বাঁধা সিটবেল্ট। পেছনে অসংখ্য সিগনাল। কোথাও আবার উড়ন্ত বাইক। তার হেডলাইটে বাইসনের মাথা। কোথাও উড়ন্ত রাস্তা। গাড়ির যন্ত্রাংশে তৈরি হয়েছে ড্রাগন। তাছাড়াও সিটবেল্ট আর হেলমেটে মাধ্যমে তৈরি হয়েছে একটি বৃক্ষ। ট্রাফিক নিয়মের প্রতীকে তৈরি হচ্ছে সেই বৃক্ষের পাতা।