এতদিন পাসপোর্টের কাজের জন্য স্থানীয়দের প্রচুর টাকা খরচ করে আগরতলায় যেতে হত। এখনপাসপোর্ট সংক্রান্ত বাড়তি বোঝা ও ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলবে জনগণের
জনগণের বহু প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ত্রিপুরায় আবার চালু হল দ্বিতীয় পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের। উত্তর ত্রিপুরা জেলা সদর ধর্মনগরে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের সূচনা করেন সাংসদ রেবতীকুমার । এই পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র চালু করার পিছনে উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের লাগাতার প্রচেষ্টার কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি।
সাংসদ রেবতী ত্রিপুরার কথায়, মানুষের সমস্ত সুযোগ সুবিধার বিষয়ে গুরুত্ব দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। তাই বিদেশ মন্ত্রক ও কেন্দ্রীয় টেলিকম মন্ত্রকের যৌথ প্রচেষ্টায় এই পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র চালু করা সম্ভব হয়েছে। এদিকে, ধর্মনগরে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র খুলে যাওয়ায় আগরতলা কেন্দ্রে চাপ কমবে বলেও দাবি করেন সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মীরা।
পূর্ব প্রতিশ্রুতি মোতাবেক এবার ত্রিপুরায় রাজধানী আগরতলার পর উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগরে সূচনা হল পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের। ধর্মনগর বিবেকানন্দ সার্ধশতবার্ষিকী হল-এ অনুষ্ঠিত হয় মূল অনুষ্ঠানটি। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম ত্রিপুরার সাংসদ রেবতীকুমার ত্রিপুরা ও ত্রিপুরা বিধানসভার উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসার বিভূতিভূষণ কুমার, উত্তর পূর্ব (১) ডাক পরিমণ্ডলের পোস্টমাস্টার টি মাংমিংথাং-সহ অন্যান্যরা।
অনুষ্ঠানে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে বহু প্রতীক্ষিত পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন সাংসদ রেবতী ত্রিপুরা। তিনি বলেন, রাজ্যের এই দ্বিতীয় পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রটি চালু হওয়ায় উত্তর ত্রিপুরা জেলা-সহ ঊনকোটি ও ধলাই জেলার মানুষও পাসপোর্ট বানাতে গিয়ে ঝক্কি-ঝামেলা থেকে মুক্তি পাবেন। তাঁর কথায়, ২০০৩ সালে পাসপোর্ট তৈরি করতে গিয়ে প্রচণ্ড হয়রানির শিকার হয়েছিলাম। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় সরকার সর্বদাই প্রত্যেক মানুষের সুযোগ সুবিধার বিষয়ে ভাবেন। তাই ত্রিপুরায় আরও একটি পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র খোলা সম্ভব হয়েছে।
উপাধ্যক্ষ বিশ্ববন্ধু সেনের কথায়, এতদিন পাসপোর্টের কাজের জন্য স্থানীয়দের প্রচুর টাকা খরচ করে আগরতলায় যেতে হত। এখন বাড়তি বোঝা ও ঝামেলা থেকে মুক্তি মিলবে। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপে এলাকার জনগণ খুশি ব্যক্ত করেছেন।