সেই সঙ্গে রাজনীতি নির্বিশেষে ছাত্রদের আবেদন জানাবো, যাদবপুরে কোনও ভাবে ক্যাম্পাসের শান্তি যাতে বিঘ্নিত না হয় তা দেখতে
যাদবপুরে কোনও ভাবে ক্যাম্পাসের শান্তি যাতে বিঘ্নিত না হয়, সে ব্যাপারে বিবৃতি দিলেন ১৫ জন সমাজকর্মী। তাঁদের আবেদন, “হিংসার বদলে গণতান্ত্রিক উপায়ে যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।
শুক্রবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে তাঁরা বলেছেন, গতকাল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছাত্রদের একটি অনুষ্ঠানে আসা এবং তাঁর বক্তব্য রাখাকে কেন্দ্র করে ঘটে যাওয়া হিংসাত্মক ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন বোধ করছি। বিশেষত অগ্নিসংযোগের ঘটনা আমাদের ভীত করেছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আগমনের সময় কিছু ছাত্রের গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রতিবাদ জানাবার মত একটি সাধারণ ঘটনাকে কিভাবে হিংসার উন্মত্ততায় রূপান্তরিত করা হয়েছে। সেই কৌশল কেবল আমাদের স্তম্ভিত করেনি, চিন্তিত করেছে। চিন্তার কারণ কেবল হিংসার বিকৃত প্রকাশ নয়, উপাচার্যের সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আচরণ এবং নিরাপত্তারক্ষীদের ছাত্রদের প্রতি আচরণ এক অশনী সংকেত প্রকাশ বলে মনে করছি।
ছাত্রদের সঙ্গে কোনো দাগী আসামীর মত আচরণ কোন সুস্থ সমাজের কাম্য নয়। প্রসঙ্গত গোটা দেশের অস্থিরতা কথা মাথায় রেখে প্রতিবাদী ছাত্রদেরও আরও সংযত আচরণ করা উচিত ছিল। রাজ্য প্রশাসনের কাছে আবেদন রাখতে চাই এই ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্তের, দোষীদের শাস্তির। সেই সঙ্গে রাজনীতি নির্বিশেষে ছাত্রদের আবেদন জানাবো, যাদবপুরে কোনও ভাবে ক্যাম্পাসের শান্তি যাতে বিঘ্নিত না হয় তা দেখতে।
বিবৃতিতে নাম রয়েছে অপর্ণা সেন,অনুপম রায়, বোলান গঙ্গোপাধ্যায়, চিত্রা চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, মুদার পাথেরিয়া, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, পিয়া চক্রবর্তী, রূপম ইসলাম, ঋদ্ধি সেন, রূপসা দাশগুপ্ত, শক্তি রায়চৌধুরী, সোহাগ সেন, শুচিস্মিতা দাশগুপ্ত ও সুদেষ্ণা রায়ের।