চন্দ্রযান ২- এর সফল উৎক্ষেপণে খুশির হাওয়া গুরাপ শিবপুরে

< 1 - মিনিট |

বৃদ্ধ দম্পতির বড় ছেলে চন্দ্রকান্ত যে ইসরোর চাঁদের দলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য ! চন্দ্রযান ২ এর সাত সাতটি অ্যান্টেনা বানিয়েছেন মধুসূদন আর অসীমার বড় ছেলে চন্দ্রকান্ত কুমার। ইসরোর ডেপুটি ডিরেক্টর পদে কর্মরত তিনি

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

ঘড়ির কাঁটায় ঠিক ২ টো বেজে ৪৩ মিনিট তার আগে থেকেই টিভির পর্দায় চোখ বৃদ্ধ দম্পতির, চন্দ্রযান মহাকাশে পাড়ি দেবার সাথে সাথেই হাততালি  দুই জনের, সঙ্গে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম মা অসীমা দেবির।দারুন উচ্ছ্বসিত ঘরে থাকা টিভির পর্দায় চোখ রাখা গ্রামের মানুষ জনেরা। আনন্দে অশ্রুতে চিক চিক করে ওঠে মায়ের চোখ ।সোমবার তাড়াতাড়ি ভোর হয়েছে গুড়াপের শিবপুর গ্রামের কুমার বাড়িতে। সকাল সকাল চাষের কাজ, গোয়ালের গরুদের দেখভাল, রান্না খাওয়া সেরে নেন মধুসূদন কুমার আর তাঁর স্ত্রী অসীমা কুমার। ২ টো বেজে ৪৩ মিনিটের আগেই যে বসতে হবে টিভির সামনে। চন্দ্রযান ২- এর সফল উৎক্ষেপন দেখতে দেখতে খুশির হাওয়া এই পরিবারে। বৃদ্ধ দম্পতির বড় ছেলে চন্দ্রকান্ত যে ইসরোর চাঁদের দলে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুই সদস্য ! চন্দ্রযান ২ এর সাত সাতটি অ্যান্টেনা বানিয়েছেন মধুসূদন আর অসীমার বড় ছেলে চন্দ্রকান্ত কুমার। ইসরোর ডেপুটি ডিরেক্টর পদে কর্মরত তিনি। ছোট ছেলে শশীকান্তও রয়েছেন ইসরোর গুরুত্বপূর্ণ পদে। মা জানালেন, ভোর ছ’টায় ফোন করেছিল বড় ছেলে। কথা হল। বলল, মা তাড়াতাড়ি কাজ সেরে খেয়ে দেয়ে নিও। আড়াইটের আগেই। তারপর টিভির সামনে বোসো। রাতে আমাকে ফোন কোরো কিন্তু। বাবাকেও বলবে, চন্দ্রযানের উৎক্ষেপন দেখতে। একটু পরেই ফোন করল ছোট ছেলে। একই আবদার। আমার আর ওর বাবার আনন্দ কি কথায় বলে বোঝাতে পারবো?” কথা বলতে বলতেই ঝাপসা হয়ে আসে চোখ।  এমএসসি করে ২০০১ সালে ইসরোতে চাকরি পেয়েছিল চন্দ্রকান্ত। সেখানে চাকরি করতে করতেই পিএইচডি। পরে ভাই শশীকান্তও একই পথে ইসরোতে। মধুসূদন ও অসীমা বলছেন, “আগে তো কখনও শুনিনি। ওরা চাকরি পেল, তবেই জানলাম ইসরোর নাম। সব মিলিয়ে এবারে চন্দ্রযানের সফল উৎক্ষেপণে হওয়ায় খুশিতে উচ্ছ্বসিত চন্দ্রকান্তের বাবা মা ও গ্রামবাসী।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news