ত্রিপুরায় এনআরসি চালু করার জন্য সুপ্রিমকোর্টে তিনটি মামলা করা হয়েছে। প্রথম মামলাটি করেছেন ত্রিপুরা পিপলস ফ্রন্ট (টিপিএফ)-এর সভানেত্রী পাতালকন্যা জমাতিয়া।
ভারত সরকার কোনও রাজ্যে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি তথা এনআরসি চালু করার আগে সেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে থাকে, এটাই নিয়ম। এটা ঠিক, ত্রিপুরায় এনআরসি চালু করার জন্য তিনটি পৃথক পৃথক মামলা হয়েছে। তবে ভারত সরকারের গৃহমন্ত্রক এখনও এ-বিষয়ে কোনও আলোচনা করেনি।
আজ সোমবার বিধানসভার অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে মধ্যাহ্ন বিরতিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ-কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। তিনি আরও জানান, যদি ভারত সরকার এ-বিষয়ে আলোচনা করে তবে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে তা জানাবেন। এতে গোপনীয়তার কোনও অবকাশ নেই।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, উত্তরপূর্ব ভারতের অসমে এনআরসি চালুর পর থেকে ত্রিপুরায়ও এনআরসি চালুর জন্য বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সংগঠন ও ব্যক্তিবিশেষের তরফে দাবি উঠেছে। এমন-কি দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এই দাবিতে মামলা করা হয়েছে।
ত্রিপুরায় এনআরসি চালু করার জন্য সুপ্রিমকোর্টে তিনটি মামলা করা হয়েছে। প্রথম মামলাটি করেছেন ত্রিপুরা পিপলস ফ্রন্ট (টিপিএফ)-এর সভানেত্রী পাতালকন্যা জমাতিয়া। অপর মামলা করেছেন তিনজন মিলে। এঁরা ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি প্রদ্যুৎ কিশোর দেববর্মা, প্রাক্তন জঙ্গি সংগঠন টিএনভি নেতা তথা ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব তিপ্রা (আইএনপিটি)-র সভাপতি বিজয়কুমার রাংখল এবং অপর এক প্রাক্তন জঙ্গি এটিটিএফ নেতা রঞ্জিত দেববর্মা। এনআরসি নিয়ে তৃতীয় ও শেষ মামলাটি করা হয়েছে একটি এনজিও-র তরফে।
এখন দেখার বিষয়, দেশের সর্বোচ্চ আদালত এ-বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয় এবং এই ইস্যুতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এবং ত্রিপুরা সরকারই বা কী অভিমত ব্যক্ত করে।