মহরাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দিনক্ষণ ঠিক করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
মহরাষ্ট্র বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দিনক্ষণ ঠিক করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২৭ নভেম্বর, বুধবারই আস্থাভোট হবে মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিতে হবে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশকে। শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের যৌথ আবেদনে মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের যৌথ পিটিশনের শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এন ভি রমনা, বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চে। সোমবার প্রায় ১ ঘন্টা ২০ মিনিট বিজেপি তথা সরকার পক্ষ এবং শিবসেনা-কংগ্রেস-এনসিপি জোটের যুক্তি, পাল্টা যুক্তি শোনে সর্বোচ্চ আদালত। এরপর মঙ্গলবার সকাল সাড়ে দশটায় রায় ঘোষণা করা হয়।
শীর্ষ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, ২৭ নভেম্বর আস্থা ভোট হবে মহারাষ্ট্র বিধানসভায়। বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যেই আস্থাভোটের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। গোটা প্রক্রিয়ার সরাসরি সম্প্রচারও করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ, প্রোটেম স্পিকার নিয়োগ করতে হবে। তিনিই আস্থা ভোট পরিচালনা করবেন। বিকেল পাঁচটার মধ্যে আস্থাভোটের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। গোপন ব্যালটে আস্থা ভোট করা যাবে না। সরাসরি সম্প্রচার করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে এনসিপি নেতা নবাব মালিক জানিয়েছেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের এদিনের রায় ভারতীয় গণতন্ত্রের মাইলফলক। বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যেই সমস্ত কিছু পরিষ্কার হয়ে যাবে, বিজেপির খেলা শেষ হয়ে যাবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে মহারাষ্ট্রে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের সরকার গঠন হবে।’ কংগ্রেস নেতা পৃথ্বিরাজ চহ্বাণ জানিয়েছেন, ‘আগামীকাল বেলা এগারোটা নাগাদ বিধায়করা শপথ নেবেন, বিকেল পাঁচটা নাগাদ মহারাষ্ট্র বিধানসভায় আস্থাভোট পরিচালনা করবেন প্রোটেম স্পিকার। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে তিনটি দলই (শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস) অত্যন্ত খুশি। আজই পদত্যাগ করা উচিত দেবেন্দ্র ফড়ণবিশের।’