ভয়ে হোক বা ভক্তিতে। অধিকাংশ নেটিজনই চেষ্টা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে। অম্বিকেশ মহাপাত্র থেকে সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়— সংযত থাকার কারণ যথেষ্ঠ বৈকি !
ভয়ে হোক বা ভক্তিতে। অধিকাংশ নেটিজনই চেষ্টা করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকতে। অম্বিকেশ মহাপাত্র থেকে সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়— সংযত থাকার কারণ যথেষ্ঠ বৈকি !
তা সত্বেও গোটা বছরটাই ফেসবুকে প্রধান চরিত্র হিসাবে থেকে গেলেন তৃণমূল নেত্রী। সংযমের ঘেরাটোপ ভেঙে সে সব শেয়ার করেছেন নানা বয়সের পুরুষ-মহিলা। বছর শেষেও তা অব্যাহত। কাল রাত থেকে ফেসবুকে ঘুরছে একটি ভিডিও। তাতে দেখা যাচ্ছে সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে আবুল বাসার, শুভাপ্রসন্ন, শিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়, মন্ত্রী পূর্নেন্দু বসু, প্রবীন সাংবাদিক বচ্চন সিং সরল প্রমুখ। তাঁদের সামনে পায়চারি করতে করতে দলনেত্রী বলছেন ‘কা কা’। বা ‘ক্যায়া ক্যায়া’। বাকিরা সমস্বরে বলছেন ‘ছি ছি!’
এই দৃশ্য দেখে কেউ বলছেন, ‘ছি ছি! লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যায় ! এই নাকি আমাদের মুখ্যমন্ত্রী’ সৌরজ্যোতি ব্যানার্জির পোষ্ট শেয়ার করে শতরূপ ঘোষ লিখেছেন, ‘আমি এটা আমার মোবাইলের caller-tune করতে চাই। দিদিকে বলো-য় ফোন করলে ওরা কি ব্যবস্থা করে দেবে ?’
কবিতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘পশ্চিমবাংলার নতুন সার্কাসের দল এই ভদ্র মহিলা সহ মঞ্চে উপবিষ্ট বুদ্ধিজীবিগনের অনেকেই গত কয়েক বছরে অনেক অনেক রঙ্গ দেখিয়েছেন। আর নেওয়া যাচ্ছে না এদের’। সুজাতা দাস তাঁর শেয়ার করা পোস্টে লিখেছেন, ‘আর ছ্যাবলামো নয়, সত্যি লজ্জা করে আমি পশ্চিমবঙ্গে বাস করি বলে। মুখ্যমন্ত্রী না একজন ভাড় তাতেও মাঝে মাঝে সন্দেহ হয়। লজ্জা, বঙ্গবাসীর লজ্জার দিন চলছে’। মিমিকেষ্ট নাম দিয়ে একজন শেয়ার করে লিখেছেন, ‘কাকা ছিছি!’ এর আগে মঞ্চে দলনেত্রীর ছন্দ মিলিয়ে কাঁসরঘন্টা বাজানোর বর্ণময় ভিডিও দেখে আহ্লাদিত হয়েছেন জনতা। অপর একটি অতি সাম্প্রতিক ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে মঞ্চে বক্তৃতারত সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলনেত্রীর মাইক কেড়ে নেওয়ার ভিডিও। তাতে সুদীপবাবু বলছেন, ‘নিরলস পরিশ্রম করছেন, সেই মমতা ব্যানার্জী এখন আপনাদের সামনে বক্তব্য রাখবেন। আপনারা করতালি দিয়ে স্বাগত জানান’। কথা শেষ হওয়ার আগেই সুদীপবাবুর হাত থেকে মাইক কেড়ে নেন দলনেত্রী। হতভম্ব সুদীপবাবু এফং পাশে দাঁড়ানো প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ দলীয় নেতাদের অভিব্যক্তি, জোড়া বাঁদরের হাসি! ফেসবুক শেয়ারে মন্তব্য, ‘যাঃ, এটা কী হল?’