দীর্ঘদিন মানুষের সেবায় যারা নিয়োজিত ছিলেন ওইসব পেনশনার্সদের বিড়ম্বনা চায় না ত্রিপুরা সরকার : উপমুখ্যমন্ত্রী
দীর্ঘদিন জনগণের সেবায় নিয়োজিত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন জীবনে বিড়ম্বনা সরকারের কাছে এ যেন লজ্জার বিষয় ৷ তাই, ‘পেনশন আদালত’ ত্রিপুরার পেনশনার্সদের অভিযোগের নিষ্পত্তি করবে ৷উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা অর্থমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা এমনটাই জানিয়েছেন।
তাঁর কথায়, বর্তমান রাজ্য সরকার পেনশনার্সদের গুরুত্ব উপলব্ধি করেছে৷ সমাজের প্রতিটি অংশের সুখ সমৃদ্ধির দায়িত্ব সরকারের৷ তাই, আগরতলা টাউন হল-এ অর্থ দফতরের উদ্যোগে আয়োজিত ‘পেনশন আদালত’ শীর্ষক কর্মসূচির সূচনা করা হয়েছে, বলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা৷ এদিন পেনশনার্সদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধান সম্পর্কিত এই কর্মসূচিতে এজি ত্রিপুরা শাখা, বিভিন্ন ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি এবং পেনশনার্সগণ উপস্থিত ছিলেন৷
উপ-মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পেনশনার্সগণ চাকুরিরত অবস্থায় দীর্ঘদিন জনগণের সেবা করেছেন৷ পেনশনার্সদের অবসরকালীন সময়ে যাতে কোনও ধরনের হয়রানির শিকার হতে না হয় সে-ব্যাপারে সরকারের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে৷ তিনি বলেন, বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে পেনশনার্সদের সমস্যাবলি দূর করার ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ তাঁর দাবি, ইতিমধ্যে ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে৷ অচিরেই অর্থ দফতরের পেনশনার্স সেলকে সক্রিয় করা হবে, যাতে তাঁরা সহজেই নিজেদের অভাব অভিযোগ লিপিবদ্ধ করতে পারেন৷
পেনশনার্সগণ সমাজের অনুভবী অংশ৷ তাঁরা কাজের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন৷ পেনশনার্সদের এই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানোর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে ‘অনুভব’ নামক পোর্টাল খোলা হয়েছে৷ যার মাধ্যমে পেনশনার্সগণ কর্ম ও অবসরকালীন জীবনের অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে পারবেন৷ বর্তমানে সরকার দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে সরকার ও সমাজ এক সঙ্গে কাজ করলে উন্নয়ন দ্রততর হয়৷
ডেপুটি অ্যাকাউন্টস অফিসার অভিজিৎ ধর এ দিন জানিয়েছেন সিটিজেন চার্টার অনুযায়ী বর্তমানে ত্রিপুরায় পেনশন সংক্রান্ত বিষয় এক মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হয়৷ স্বাগত ভাষণ রাখেন ডেপুটি ফিনান্স সেক্রেটারি সি মগ ৷ এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অর্থসচিব এন ডার্লং৷