ত্রিপুরায় দ্বিগুণ পরিমাণে বাড়ল মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা

< 1 - মিনিট |

ধ্বনিভোটে সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গিয়েছে

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

দ্বিগুণ বাড়ছে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী, উপ-মুখ্যমন্ত্রী, অন্য মন্ত্রী, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, বিরোধী দলনেতা, মুখ্যসচেতক এবং বিধায়কদের বেতন-ভাতা৷ আজ বিধানসভায় এ-সংক্রান্ত সংশোধনী বিল পাশ হয়েছে৷

মঙ্গলবার ত্রিপুরা বিধানসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনের অন্তিম দিনে আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত সংশোধনী বিল অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করেন। ওই সময় বিধানসভায় বিরোধীরা ছিলেন না। কারণ তাঁরা আগেই ওয়াকউট করেছিলেন। তাই ধ্বনিভোটে সংশোধনী বিল পাশ হয়ে গিয়েছে।

নয়া সংশোধনী বিল অনুযায়ী, মুখ্যমন্ত্রীর ৫৩,৬৩০ টাকা, উপ-মুখ্যমন্ত্রীর ৫২,৬৩০ টাকা, অন্য মন্ত্রীদের ৫১,৭৮০ টাকা, বিরোধী দলনেতার ৫১,৭৮০ টাকা, অধ্যক্ষের ৫১,৭৮০ টাকা, উপাধ্যক্ষের ৫০,৫১০ টাকা মুখ্য সচেতকের ৫১,৭৮০ টাকা এবং বিধায়কদের ৪৮,৪২০ টাকা বেতন হবে৷ এছাড়া অন্যান্য ভাতাও বাড়ছে তাঁদের৷

এদিকে, বেতন বাড়ার পাশাপাশি বাড়তে চলেছে পেনশনও৷ বিলের সংশোধনী মোতাবেক নতুন পেনশন হবে ৩৪,৫০০ টাকা৷ অতীতে তা ছিল ১৭,২৫০ টাকা৷ সাথে অন্যান্যও ভাতাও বাড়ছে৷

পূর্বতন সরকারের আমলে অন্তিমবার ২০১৬ সালে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা বেড়েছিল৷ ওই বেতন বেড়ে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর ২৬,৩১৫ টাকা, অন্য মন্ত্রীদের ২৫,৮৯০ টাকা, অধ্যক্ষের ২৫,৯৯০ টাকা, উপাধ্যক্ষের ২৫,২৫৫ টাকা, মুখ্য সচেতক এবং বিরোধী দলনেতার ২৫,৮৯০ টাকা এবং বিধায়কদের ২৪,২০০ টাকা৷ সাথে অন্যান্য ভাতাও বেড়েছিল৷ কিন্তু এবার একলাফে দ্বিগুণ বেড়ে যাচ্ছে তাঁদের বেতন-ভাতা৷

এদিন বেতন-ভাতা বৃদ্ধির সমর্থনে ট্রেজারি বেঞ্চের বিধায়ক রতন চক্রবর্তী এই সিদ্ধান্তকে ঐতিহাসিক বলে মন্তব্য করেছেন। তবে, বিরোধী বিধায়ক তপন চক্রবর্তী এই বৃদ্ধিকে সমর্থন করেননি। তাঁর কথায়, বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে ১০-১৫ শতাংশ বৃদ্ধির পক্ষে সুপারিশ করেছিলাম। কারণ, ত্রিপুরার আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী অস্বাভাবিক হারে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।

আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ বলেন, অন্যান্য রাজ্যে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা আমাদের তুলনায় অনেক বেশি। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যেই মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন-ভাতা ত্রিপুরার তুলনায় অনেক বেশি। তাই, সমস্ত দিক বিবেচনা করেই বেতন-ভাতা বৃদ্ধি করা হচ্ছে। কারণ, প্রতিনিয়ত জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে। সেই সাথে অন্যান্য খরচ বাড়ছে। তাঁর দাবি, মূল্যসূচকের সাথে সাযুজ্য রেখেই বাড়ানো হয়েছে বেতন-ভাতা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news