করিমগঞ্জের ফতেপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফাঁড়িরমুখ এলাকার পাহাড়ি অঞ্চলে কিছুদিন থেকে জেসিবি দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছিল সেখানেই শুক্রবার বেলা দুটো নাগাদ মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে
করিমগঞ্জের ফতেপুর এলাকায় মাটি ধসে মৃত্যু হয়েছে ছয় বছরের শিশু রাসেল আহমেদ এবং জেসিবি চালক বছর পঁচিশের কবির আহমদ। শুক্রবার বেলা দুটো নাগাদ মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে । একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। তাদের করিমগঞ্জ সিভিল হাসপাতালে নিয়ে ভরতি করা হয়েছে।
জানা গেছে, করিমগঞ্জের ফতেপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফাঁড়িরমুখ এলাকার পাহাড়ি অঞ্চলে কিছুদিন থেকে জেসিবি দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছিল। জেসিবি মাটি কেটে ট্রিপারে লোড করা হচ্ছে। এই দৃশ্যজ দেখতে প্রতিদিনই এলাকার উৎসাহী শিশু-সহ প্রাপ্তবয়স্করা ভিড় জমান। আজও এর ব্যুতিক্রম হয়নি। জেসিবি পাহাড় থেকে মাটি কাটছিল, আচমকা উপর থেকে ধসে নামে। এতে জেসিবি ও ট্রিপার-সহ বেশ কয়েকজন উৎসাহী জনতা মাটির নীচে চাপা পড়ে যান। শুরু হয়ে যায় চিৎকার চেঁচামেচি। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় জনতা কালিগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে খবর দেন।
ঘটনার খবর পেয়ে অকুস্থলে ছুটে যান কালিগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস উদ্দিন বরভুইয়াঁ। ঘটনার গুরুত্ব উপলব্ধি করে তিনি তৎক্ষণাৎ খবর দেন জেলার পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দেবরায়কে। এদিকে জেলা সদর থেকে ছুটে আসে এসডিআরএফ বাহিনী। ইত্যবসরে ঘঅকুস্থলে ছুটে আসেন পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দেবরায়। এসডিআরএফ বাহিনী বেশ কিছুক্ষণ উদ্ধারকার্য চালিয়ে রাসেল আহমদ (৬) এবং ট্রিপার চালক কবীর আলির প্রাণহীন নিথর দেহ মাটির নীচ থেকে বের করেন। এছাড়া আবদুল্লাহ হুসেন ও রাজু আহমেদ নামের আরও দুজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন তাঁরা। আহতদের প্রথমে কালিগঞ্জ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হলেও, কর্তব্যহরত চিকিৎসক তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে করিমগঞ্জ অসামরিক হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন। এদিকে মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের হাতে সমঝে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে।