মিজোরাম থেকে ত্রিপুরায় পাচারের পথে ২৭টি গরু বোঝাই ট্রাক-সহ দুই তস্কর ধরা পড়েছে করিমগঞ্জ জেলার বাজারিছড়া থানাধীন রাঙামাটি পুলিশ ফাঁড়ির বালিপিপলায়।
মিজোরাম থেকে ত্রিপুরায় পাচারের পথে ২৭টি গরু বোঝাই ট্রাক-সহ দুই তস্কর ধরা পড়েছে করিমগঞ্জ জেলার বাজারিছড়া থানাধীন রাঙামাটি পুলিশ ফাঁড়ির বালিপিপলায়। উদ্ধারকৃত গরুগুলোকে পুলিশ নিজেদের জিম্মায় রেখে আটক দুই পাচারকারীকে জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন রাঙামাটি পুলিশের ইনচার্জ রাজুরঞ্জন দে।
পুলিশ অফিসার রাজুরঞ্জন দে, জানান আজ কাকভোরে টিআর ০২ জি ১৯২১ নম্বরের একটি ট্রাকে ২৭টি গরু মিজোরামের লুসাইছড়া থেকে সংগ্রহ করে সেগুলি বোঝাই করে অবৈধভাবে উত্তর ত্রিপুরার পানিসাগরের উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল একদল পাচারকারী। খবর পেষ়ে বালিপিপলা এলাকার সচেতন জনগণ এবং বজরং দলের কারর্ষকর্তারা রাস্তাষ় দাঁড়িয়ে গরু বোঝাই ট্রাককে আটকে খবর দেন রাঙামাটি পুলিশ ফাঁড়িতে। অন্য পুলিশকর্মী সঙ্গে নিয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক গরু বোঝাই ট্রাক ও তার চালক তথা পাচারকারীদের আটক করে ফঁড়িতে নিয়ে আসেন।
পরে ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে নামেন বাজারিছড়া থানার ওসি বিএন মালসেম থিক। ওসি জানান, ধৃত দুই পাচারকারীর বাড়ি ত্রিপুরার পানিসাগর এলাকায়। তাদের নাম যথাক্রমে রহিম উদ্দিন (২৩) এবং প্রদীপ মালাকার (২৩)। ধৃতদের বিরুদ্ধে পুলিশ নিজে থেকে ভারতীয় ফৌজদারি দণ্ডবিধির ৪১ ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে। ওসি মালসেন আরও জানান, আটক গরু-সহ ট্রাকের উপযুক্ত কাগজপত্রে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। ধৃতদের কাছে গরু আমদানি রফতানির কোনও পারমিট পাওয়া যায়নি। তবে আটক গরুগুলো কোনও চুরিকৃত গরু নয় বলে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ওসি।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বৃহত্তর লোয়াইরপোয়া এলাকায় পুলিশকে ঘুমে রেখে অবৈধ উপায়ে বিভিন্ন স্থানে গরু পাচার চলার খবর পাওয়া গেছে। এ সব ক্ষেত্রে গরু পাচারকারীরা সদর সড়কের পরিবর্তে ফাঁড়ি ও পাহাড়ি রাস্তাকেই ব্যবহার করছে। বিশেষ করে রাতাবাড়ি, কালাছড়া, চোরাইবাড়ি, কাঁঠালতলির শর্টকার্ট রুটকে প্রছন্দের তালিকায় রেখেছে গরু পাচারকারী চক্র, অভিযোগ বজরং দলের কর্মকর্তাদের।