কানিশাইল এলাকার বাসিন্দা আবদুল ওয়াহিদ তার ফেসবুক স্টেটাস শেয়ার করে বলেছে, ভারতকে শেষ করতে ১৩০টি পরমাণু বোমা প্ৰস্তুত রেখেছে পাকিস্তান
পাকিস্তানের গুণগান ও কাশ্মীরে নিয়োজিত ভারতীয় সেনাবাহিনীকে কটাক্ষ এবং সর্বোপরি করিমগঞ্জের জেলা ও দায়রা বিচারপতির নামে আপত্তিকর মন্তব্য তার ফেসবুক স্টেটাসে শেয়ার করার দায়ে এক যুবককে মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত করিমগঞ্জ শহরের কানিশাইল এলাকার জনৈক আবদুল ওয়াহিদ বলে পরিচয় পাওয়া গেছে।
পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পৰ্ক তলানিতে আসার পর ইদানীং করিমগঞ্জের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী কিছু এলাকায় দুষ্কৃতী তৎপরতা বেড়েছে। কতিপয় যুবক পাকিস্তানের পক্ষে দেদার মতামত প্ৰকাশ করছে। এভাবেই করিমগঞ্জের কানিশাইল এলাকার বাসিন্দা আবদুল ওয়াহিদ তার ফেসবুক স্টেটাস শেয়ার করে বলেছে, ভারতকে শেষ করতে ১৩০টি পরমাণু বোমা প্ৰস্তুত রেখেছে পাকিস্তান।
অন্য এক পোস্টে ওয়াহিদ লিখেছে, নিজেদের চাকরি রক্ষা করতে কাশ্মীরে ভারতীয় সেনাবাহিনী কাজ করছে। ওয়াহিদ (পোস্টকারী) যদি এ মুহূর্তে কাশ্মীরে থাকত, তা-হলে এর প্ৰতিশোধ নিত। এভাবে লাগাতার বহু আপত্তিকর মন্তব্য সে তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করেছে। ছাড়েনি করিমগঞ্জ জেলা ও দায়রা বিচারপতির বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করা।
আজ করিমগঞ্জ সদর থানার পুলিশ আবদুল ওয়াহিদকে গ্ৰেফতার করেছে। এ ব্যাপারে করিমগঞ্জের পুলিশ সুপার মানবেন্দ্ৰ দেবরায় জানান, বৰ্তমান পরিস্থিতিতে ভারত-বাংলাদেশ আন্তৰ্জাতিক সীমান্তের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা হচ্ছে। সেকেন্ডলাইন ডিফেন্সের শক্তি বাড়ানো হয়েছে।
ধৃত আবদুল ওয়াহিদ সম্পর্কে বলেন, তার সঙ্গে কার কার সম্পর্ক রয়েছে তার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। তবে তার সঙ্গে নিম্ন অসমের বরপেটা, মধ্য অসমের লংকা ইত্যাদি এলাকার কতিপয় সন্দেহভাজনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে বলে ইতিমধ্যে তাঁদের কাছে তথ্য এসেছে, বলেন পুলিশ সুপার। প্রসঙ্গত, বরপেটা জেলা এবং লংকা (হেজাই জেলা)-কে জেএমবি জেহাদিদের ঘাঁটি বলে চিহ্ণিত করেছে রাজ্য পুলিশ।