৩১ আগস্ট অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির তালিকা প্রকাশের পর ১৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ ‘বিদেশি’ হতে বসেছেন
পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি ইস্যুতে রাজ্য সরকারের পাশে থাকার কথা জানিয়ে দিয়েছে বাম ও কংগ্রেস। এনআরসি’র বিরোধিতা করে বিধানসভায় প্রস্তাব আনছে রাজ্য। ৬ সেপ্টেম্বর প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার দিনও ঠিক করেছে বিএ কমিটি।
অন্যদিকে, এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার বিরুদ্ধে বিজেপি। ইতিমধ্যেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়ে দিয়েছেন, অসমের পর পশ্চিমবঙ্গেও এনআরসি বা জাতীয় নাগরিকপঞ্জি চায় তাঁর দল।
আগেই জাতীয় নাগরিকপঞ্জি নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন আব্দুল মান্নানরা। বিষয়টি বিধানসভার কার্যবিবরণী কমিটির (বিএ কমিটি) বৈঠকে আলোচনা করা হয়। তার পরই বুধবার সেই দাবি মেনে নেয় শাসকদল। শুক্রবার অধিবেশনের দ্বিতীয়ার্ধে হবে এনআরসি নিয়ে আলোচনা। থাকতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ আগস্ট অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির তালিকা প্রকাশের পর ১৯ লক্ষেরও বেশি মানুষ ‘বিদেশি’ হতে বসেছেন। রাজ্যের তৃণমূল, কংগ্রেস, বাম নেতাদের দাবি, দুশ্চিন্তায় ঘুম উড়েছে এই সব লোকেদের। সেই দিনই পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘সুযোগ পেলেই পশ্চিমবঙ্গে চালু করা হবে জাতীয় নাগরিকপঞ্জি’। কারণ হিসেবে তিনি জানান, আর্থিক, সামাজিক, সবক্ষেত্রে এ রাজ্যকে লুঠ করেছে বিদেশিরাই৷ সেই বিদেশিদের চিহ্নিত করা হবে। বিশেষ করে বাংলাদেশি মুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের এ দেশে থাকার কোনও অধিকার নেই বলে মনে করেন তিনি।
এদিকে, আগামী ৬ সেপ্টেম্বর অধিবেশনের বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। ওই দিন বিএ কমিটির বৈঠকে অধিবেশনের দিন বাড়ানো হবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা হবে। ১০ সেপ্টেম্বর মহরম। তার আগে শনিবার ও সোমবার অধিবেশনের দিন বাড়ানো যায় কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।