অতীতের সেই সব ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বিসিসিআই আসন্ন ঘরোয়া মরশুমে নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে। এই প্রথম ঘরোয়া রঞ্জি মরশুমে ব্যবহার করা হবে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা সংক্ষেপে ডিআরএস
সদ্যসমাপ্ত বিশ্বকাপে নিম্নমানের আম্পায়ারিং নিয়ে বিতর্কের জেরে এবার থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটেও ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা সংক্ষেপে ডিআরএস চালু করতে চলেছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যদি আম্পায়ারিং নিয়ে অসন্তোষ তৈরি হয়, তবে ঘরোয়া ক্রিকেটের ছবিটা সহজেই অনুমান করা যায়। ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটও এমন বিতর্ক এর বাইরে নয়। ঘরোয়া ক্রিকেটে কোচ ও অধিনায়কদের তো মাঝে মাঝে সরকারিভাবে বোর্ডের কাছে আম্পায়ারিং নিয়ে অভিযোগ জমা দিতেও দেখা গিয়েছে।
অতীতের সেই সব ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে বিসিসিআই আসন্ন ঘরোয়া মরশুমে নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে। এই প্রথম ঘরোয়া রঞ্জি মরশুমে ব্যবহার করা হবে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম বা সংক্ষেপে ডিআরএস। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না-হলে অধিনায়কদের সুযোগ থাকবে সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানোর। যদিও পুরো রঞ্জি মরশুমে নয়, ডিআরএস ব্যবহৃত হবে কেবলমাত্র রঞ্জির নক-আউট ম্যাচগুলিতে। গ্রুপ লিগের ম্যাচগুলিতে আগের মতোই আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।
টেকনোলজির ব্যবহার করা হলেও পূর্ণাঙ্গ রিভিউ সিস্টেমের সুবিধা পাবে না রঞ্জির দলগুলি। ডিআরএসের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ‘আল্ট্রা এজ’ ও ‘হক আই’ এই দুটি প্রযুক্তি উপলব্ধ হবে না রঞ্জির ডিসিশন রিভিউ সিস্টেমে। বোর্ডের তরফে এমন আংশিক রিভিউ সিস্টেমকে ‘লিমিটেড ডিআরএস’ বলে বর্ণনা করা হচ্ছে।
বিসিসিআইয়ের জেনারেল ম্যানেজার (ক্রিকেট) সাবা করিম জানান, আপাতত প্রথম বছর পরীক্ষামূলক-ভাবে ব্যবহার করা হবে ডিআরএস। তিনি বলেন, ‘রঞ্জির নক-আউট ম্যাচগুলিতে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রায়শই অসন্তুষ্ট দেখায় দলগুলিকে। সেই সমস্যা দূর করতে প্রযুক্তির ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাধারণভাবে ১৮ থেকে ২০টি ক্যামেরা দিয়ে রঞ্জির নকআউট ম্যাচগুলি সম্প্রচার করা হয়। সেই ক্যামেরাগুলিকেই যথাসম্ভব ব্যবহার করা হবে আম্পায়ারদের সুবিধার্থে। আপাতত যেসব টেকনোলজি বোর্ডের হাতে রয়েছে, তার সবগুলিই রিভিউ সিস্টেমে ব্যবহার করা হবে। পরবর্তী সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে পূর্ণাঙ্গ ডিআরএস ব্যবহার করার পরিকল্পনা রয়েছে বোর্ডের।’