বিজয় শংকর চোট পাওয়ার পরও ভাবা হয়নি রায়ডুর নাম। উলটে, সুযোগ দেওয়া হয় স্ট্যান্ড বাই ক্রিকেটারদের তালিকায় নাম না থাকা ময়ঙ্ক আগরওয়াল। এতেই অভিমান বাড়ে রায়ডুর
বিশ্বকাপ দলে সুযোগ না পাওয়ার ধাক্কাটা সামলাতে না পেরে অবশেষে বিশ্বকাপের মাঝেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিলেন ভারতীয় দলের মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান অম্বাতি রায়ডু। বুধবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সার্কিট থেকে অবসর ঘোষণা করলেন এই ডান-হাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান। তবে আইপিএলে খেলা চালিয়ে যাবেন তিনি।
বিশ্বকাপে জাতীয় দলে সুযোগ পাননি। যা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন। শিখর ধাওয়ান এবং বিজয় শংকরদের পরিবর্ত হিসেবেও তাঁর নাম ভাবা হয়নি। যা ক্ষোভ আরও বেড়েছিল রায়ডুর। অবশেষে অভিমান বুকে নিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপের আগে প্রায় দেড় বছর ধরে ভারতীয় দলের ৪ নম্বর জায়গাটা দখল করেছিলেন রায়ডু। কিন্তু সম্প্রতি বিদেশের মাটিতে পরপর দুটি সিরিজে ব্যর্থ হন। অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড সফর মিলিয়ে মোটে একটা অর্ধশতরানের ইনিংস ছিল রায়ডুর। ঘরের মাটিতে আইপিএলেও ভাল ফর্মে ছিলেন না তিনি। স্বাভাবিকভাবেই বিশ্বকাপের দলে তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়নি। তাঁর পরিবর্তে সুযোগ পান বিজয় শংকর, দীনেশ কার্তিকরা। নির্বাচকদের এই সিদ্ধান্তে তখনই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন রায়ডু।
মূল দলে সুযোগ না পেলেও বিসিসিআই পরে স্ট্যান্ড বাই ক্রিকেটারদের তালিকায় নাম রেখেছিল রায়ডুর। ঠিক হয়, বিশ্বকাপ চলাকালীন কোনও ক্রিকেটার চোট পেলে ‘স্ট্যান্ড বাই’-রা সুযোগ পেতে পারেন। শিখর ধাওয়ান চোট পাওয়ার পর অবশ্য রায়ডুর নাম ভাবা হয়নি। সুযোগ দেওয়া হয় ঋষভ পন্থকে। এরপর বিজয় শংকর চোট পাওয়ার পরও ভাবা হয়নি রায়ডুর নাম। উলটে, সুযোগ দেওয়া হয় স্ট্যান্ড বাই ক্রিকেটারদের তালিকায় নাম না থাকা ময়ঙ্ক আগরওয়াল। এতেই অভিমান বাড়ে রায়ডুর। এবং অবসরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন তিনি।
দেশের হয়ে মোট ৫৫টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন রায়ডু। প্রায় ৪৭ রানের গড়-সহ তাঁর মোট সংগ্রহ ১৬৯৪ রান। এর মধ্যে ৩ টি শতরান এবং ১০ টি অর্ধশতরানের ইনিংস রয়েছে। এছাড়াও ভারতের হয়ে ৬ টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন সিএসকে তারকা।