লাল-হলুদের তিলোত্তমায় ‘হরিয়ানা হ্যারিকেন’

< 1 - মিনিট |

ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ, আবেগের জোয়ারে ভাসছে শহর

কে আর সি টাইমস ডেস্ক

আজ শহরের রং লাল-হলুদ। সকাল থেকে শহর ভাসছে উন্মাদনা ও আবেগের জোয়ারে। ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানের উল্লাসে মাতোহারা শহর। ২৮ জুলাই কুমারটুলি থেকে ইস্টবেঙ্গল ক্লাব পর্যন্ত বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্যে দিয়েই শুরু হয়েছিল এই উন্মাদনা। বৃহস্পতিবার বিকালে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মূল অনুষ্ঠান। চাঁদের হাট বসেছে নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়ামে। এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এদিন সকালেই শহরে চলে এসেছেন ৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিলদেব নিখাঞ্জ। “হরিয়ানা হ্যারিকেন”কে এ শতবর্ষের ভারত গৌরব সম্মান দিচ্ছে লাল-হলুদ। জীবনকৃতি সম্মান দেওয়া হবে প্রাক্তন ফুটবলার মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়কে।


এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক তথা সিএবি সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া, সুনীল ছেত্রী-সহ একাধিক তারকার। গত মরশুমের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পাবেন ডানমাওয়াইয়া রালতে। শতবর্ষে ক্রীড়া সাংবাদিক হিসবে সম্মানিত হবেন গৌতম ভট্টাচার্য। এদিন বিকেল পাঁচটায় অনুষ্ঠান শুরুর সময়। এই অনুষ্ঠানের জন্য ক্লাবের তরফ থেকে কোনও সরকারি গেট পাস বা টিকিটের ব্যবস্থা রাখা হয়নি। বিকাল তিনটে থেকেই খুলে দেওয়া হয়েছে নেতাজি ইন্ডোরের মূল ফটক। ক্লাব কর্তাদের অনুমান, ইতিহাসের সাক্ষী হতে প্রচুর সমর্থক উপস্থিত থাকতে পারেন । তাই আন্দাজ করেই নেতাজি ইন্ডোরের বাইরে ক্ষুদিরাম অনুশীলন এবং লাগোয়া এলাকায় হাফ ডজন জায়েন্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকালে ট্যুইটারে ক্লাবকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন । তিনি লিখেছেন, “আজ ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শতবর্ষ উদযাপন। ফুটবল এবং তার প্রচারের সাথে ক্লাবটির একটি গৌরবপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবের সকল প্রাক্তনী এবং বর্তমান খেলোয়াড়, আধিকারিক এবং সমর্থকদের আন্তরিক শুভেচ্ছা।”ক্লাবের ১০০ বছরের ইতিহাস নিয়ে এদিন একটি তথ্যচিত্রের উদ্বোধন করার কথা। তথ্যচিত্রে ইস্টবেঙ্গলের সমস্ত জীবিত অধিনায়কদের, তাদের সময়কার লাল-হলুদ জার্সি পড়িয়ে ফটোশুট করার অংশটি অন্যতম আকর্ষণীয়। কিন্তু এই উ‍ৎসবের আমেজে কাঁটা হয়ে দেখা দিচ্ছে বিনিয়োগকারী কোয়েসের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হওয়ার বিষয়টি। কোয়েসের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী মরসুম থেকে তাঁরা আর ক্লাবের সঙ্গে থাকবেন না। ক্লাব কর্তারা যদিও এ সব নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ। তাদের ফোকাসে এখন শুধুই শতবর্ষের অনুষ্ঠান সাফল্যমণ্ডিত করা।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news