বুধবার এরিয়ানকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে রবিবার ডার্বির আগে চনমনে আলেজান্দ্রো গার্সিয়ার ছেলেরা
আগামী রবিবার ডার্বির আগে ঘরের মাঠে দুরন্ত জয় ইস্টবেঙ্গলের। ডুরান্ডের সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের পর গত ম্যাচে বিএসএসের বিরুদ্ধে কলকাতা লিগে জয়ে ফিরেছিল লাল-হলুদ। বুধবার এরিয়ানকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে রবিবার ডার্বির আগে চনমনে আলেজান্দ্রো গার্সিয়ার ছেলেরা।
এদিন জোড়া গোলে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ জয়ের নায়ক হাইমে কোলাডো। যত দিন যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলে নিজের অপরিহার্যতা প্রমাণ করছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। অপর গোলটি লালরিনডিকা রালতের। তবে বরাবরের শক্ত গাঁট এরিয়ানের বিরুদ্ধে এদিন আরও বড় ব্যবধানে জিততেই পারত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তিনকাঠির নীচে সৈয়দ আবদুল কাদিরের কয়েকটি অব্যর্থ সেভ লজ্জা এড়ায় রাজদীপ নন্দীর। এরিয়ানের বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে এদিন পাঁচটি পরিবর্তন আনেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। রক্ষণে সামাদ আলি, মনোজ মহম্মদ ও আশির আখতারের সঙ্গে মাঝমাঠে শুরু করেন কাশিম আইদারা ও বোইথাং হাওকিপ।
শুরু থেকেই বল পজেশন নিজেদের দখলে রেখে ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করার চেষ্টা করে ইস্টবেঙ্গল। ৩৯ মিনিটে চিকা ওয়ালির নেতৃত্বাধীন এরিয়ান রক্ষণ ভেঙে বিদ্যাসাগরের জন্য ঠিকানা লেখা স্কোয়্যার বল বাড়ান সামাদ। কিন্তু বলে পা ছোঁয়াতে ব্যর্থ হন বিদ্যাসাগর। তবে বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হয়নি ইস্টবেঙ্গলকে। বিরতির আগেই (৪৩ মিনিট) ব্র্যান্ডনের সেন্টার থেকে বাঁ-পায়ের ভলিতে স্কোরলাইন ১-০ করেন ডিকা।
৬১ মিনিটে গোয়ানিজ রোনাল্ডো অলিভিয়েরার সঙ্গে দুরন্ত পাসিং ফুটবল খেলে দ্বিতীয় গোলের দরজা খুলে ফেলেন হাইমে। বাঁ-পায়ের শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন স্প্যানিয়ার্ড। পরের দশ মিনিটে দু-দু’বার লাল-হলুদের ব্যবধান বাড়ানোর পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ান বিপক্ষ গোলরক্ষক। তবে ৮৯ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় ও দলের হয়ে তৃতীয় গোলটি এনে দেন সেই কোলাডো। বক্সের বাইরে থেকে তাঁর দর্শনীয় শট কাদিরের নাগাল এড়িয়ে জড়িয়ে যায় জালে।