’আমার দেখা সেরা ভারতীয় ডিফেন্ডার সুব্রত ভট্টাচার্য। ও আমাকে অনেক বার আটকে ছিল।’ :মজিদ
সেই ১২ নম্বর জার্সি পড়ে মাঠে নামলেন মজিদ বাসকর। ইস্টবেঙ্গল মাঠে এসে আবেগমোথিত। অতীত দিনের স্মৃতি রোমন্থন করলেন। এখনও মনে রেখেছেন মনোরঞ্জন, হাবিব, সুধীর কর্মকারদের। সুব্রত ভট্টাচার্য যে তাঁকে সব থেকে বেগ দিতেন তা জানাতে ভুললেন না। মজিদের মতো ময়দানের সেরা বিদেশি ফুটবলারকে চোখে দেখে দিলখুশ লাল-হলুদ জনতার।
তবে এক সময় ভারতে আসার ব্যাপারে দ্বিধায় ছিলেন মজিদ। তিনি বলেন, ’ভারতে আসার ব্যাপারে এক সময় দ্বিধায় ছিলাম। আসব কী আসব না তা বুঝতে পারছিলাম না। জামশেদ নাসিরি ও মনোরঞ্জনের ফোন পাওয়ার পরে ঠিক করি ভারতে আসব।’
ভারতে সেরা ম্যাচ কোনটা ? এই প্রশ্নে তিনি বলেন, ’দার্জিলিং গোল্ড কাপে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে দু’গোলে হারছিলাম। পরে শেষ পনেরো মিনিটে আমরা তিন গোল করি। ওটাই আমার সেরা ম্যাচ।’ সেরা ডিফেন্ডার প্রসঙ্গে মজিদ বলেন, ’আমার দেখা সেরা ভারতীয় ডিফেন্ডার সুব্রত ভট্টাচার্য। ও আমাকে অনেক বার আটকে ছিল।’ ১৯৮০ সালের ১৬ই অগস্টের সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কথা মনে রেখেছেন মজিদ। তিনি বলেন, ’অমি তখন লর্ড সিনহা রোডে থাকতাম। ওই দুঃস্মৃতি আমি আজও ভুলতে পারিনি।’
ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের সঙ্গে আলাপচারিতার পরে মাঠে নামেন মজিদ। একটি বলও মারেন তিনি। তখন গগনভেদী চিংকার ওঠে গ্যালারিতে । সাংবাদিক সম্মেলনে আসার আগে বন্ধু জামশেদের সঙ্গে কলকাতা ঘুরে দেখেন। ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান মাঠের গেটও দেখেন মজিদ।