জামশেদপুরকে হাফ ডজন গোলের মালা পড়ালেন আলেজান্দ্রোর ছাত্ররা

< 1 - মিনিট |

জোড়া গোল কোলাডো ও বিদ্যাসাগরের

কে আর সি ডেস্ক
ইস্টবেঙ্গল 
৬ কোলাডো- ২ (পেনাল্টি-১), পিন্টু, বিদ্যাসাগর-২, হাওকিপ
জামশেদপুর এফসি 0 

প্রতিবেশী ক্লাবের স্পানিশ ব্রিগেড একদিন আগেই চূড়ান্ত ফ্লপ করেলও এদিন অবশ্য সেই পথে হাঁটেননি লাল-হলুদের ইনিয়েস্তার দেশের ফুটবলাররা৷ ইস্টবেঙ্গলের স্প্যানিশ হেড স্যার আলেজান্দ্রোর ছাত্রদের চলতি ডুরান্ড কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গোল পাওয়ার জন্য ৮৪ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলেও দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমার্ধেই তিনটি গোল করে দলের জয় সুনিশ্চিত করে ফেললেন৷ শেষপর্যন্ত জামশেদপুর এফসি কে হাফ ডজন গোল দিয়ে শেষ চার নিশ্চিত করে ফেলল শতবর্ষে পা দেওয়া মশালবাহিনী৷ মঙ্গলবার নিজেদের মাঠে শেষ পর্যন্ত তারা ৬-০ গোলে পরাজিত করে বিদেশিহীন জামশেদপুর এফসিকে। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে কোলাডো ও বিদ্যাসাগর সিং দুটি করে গোল করেন। বাকি গোল করেন পিন্টু মাহাতো ও বৈথাং হাওকিপ। লাল-হলুদের একটি শট পোস্টে প্রতিহত না হলে সাত গোলে ম্যাচ জিতে অনায়াসেই মাঠ ছাড়ত তারা।

বৃষ্টি ভেজা ইস্টবেঙ্গল মাঠে জামশেদপুর এফসির দ্বিতীয় সারির দলের বিরুদ্ধে ম্যাচের ৩ মিনিটে নিজেদের ডি-বক্সের মধ্যে বল পায়ে আগুয়ান হাইমে কোলাডোকে আটকাতে গিয়ে ফাউল করে লাল কার্ড দেখে বসেন আইএসএল-এর দলটির গোলরক্ষক। সঙ্গত কারণে পেনাল্টি পায় ইস্টবেঙ্গল। স্পট-কিক থেকে বল জালে রাখেন কোলাডোই। মিনিট চারেক পর (৭ মিনিট)দুরন্ত প্লেসিংয়ে ফের বল জালে রেখে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে ব্যবধান বাড়ান স্প্যানিশ স্ট্রাইকার। এরপরই অবশ্য কাঁধের চোটে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন কোলাডো। তাতে অবশ্য গোল অধরা থাকেনি ইস্টবেঙ্গলের। ৩১ মিনিটে ব্রেন্ডনের ঠিকানা লেখা থ্রু ধরে স্কোরলাইন ৩-০ করেন পিন্টু মাহাতো। জঙ্গলমহলের এই ছেলেটি এদিন ম্যাচ সেরা হন। হাফ-টাইমের আগে তিন গোল হজম করে জামশেদপুর এফসি৷

বিরতির পর ৭৪ ও ৭৯ মিনিটে জোড়া গোল করে লাল-হলুদকে ৫-০ এগিয়ে দেন বিদ্যাসাগর সিং। প্রথম ম্যাচে পরিবর্ত হিসাবে নেমে গোল পেয়েছিলেন বিদ্যাসাগর। তাই এদিন আলেজান্দ্রোর পরিকল্পনায় শুরু থেকেই মাঠে ছিলেন তিনি৷ অতিরিক্ত সময় (৯২ মিনিট) বিদ্যাসাগরের পাস থেকেই দলের হয়ে ষষ্ঠ তথা ম্যাচের শেষ গোলটি করেন পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা হাওকিপ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Related news