এটিকের বিরুদ্ধে গোল পেলেন ভিকুনার দুই স্প্যানিশ ছাত্র
মোহনবাগান ২ (মোরান্তে, বেইতিয়া)
এটিকে ১ (আশিস)
ডুরান্ড কাপের ‘মিনি ডার্বি’-তে জয় দিয়ে বাগানে যে স্প্যানিশ যুগের সূচনা হয়েছিল মাঝে কিছুটা ছন্দপতন হলেও ফের উজ্জ্বল মেরিনার্সের ইনিয়েস্তার দেশের ফুটবলাররা৷ পিয়ারলেস ম্যাচের হার ভুলে ডুরান্ড কাপে এটিকের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াল কিবু ভিকুনার ছাত্ররা। বিশেষ করে তাঁর নিজের দেশের ছাত্ররা। ফলশ্রুতিতে ডুরান্ডে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও জয় তুলে নিয়ে শেষ চারে মোহনবাগান। বৃহস্পতিবার তারা ২-১ গোলে হারাল এটিকেকে। মেরিনার্সের হয়ে একটি করে গোল করলেন দুই স্প্যানিশ ফুটবলার ফার্ন মোরান্তে ও জোসেবা বেইতিয়া। এটিকের হয়ে ব্যবধান কমান আশিস প্রধান। তবে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের গোল সংখ্যা আরও বাড়তে পারত যদি না রোমারিও জেসুরাজের হেড সাইড পোস্টে না লেগে ফিরে আসত বা ভিপি সুহেরের একটি মাইনাস থেকে বল পেয়ে সামনে গোলদ্বার ফাঁকা থাকা সত্ত্বেও সুরাবুদ্দিন পুশ করতে পারলেন না বলে।
প্রথমবার কলকাতায় হওয়া ডুরান্ড কাপে মহামেডানকে ২-০ হারিয়ে মরশুম শুরু করেছিল প্রতিযোগিতার ১৬ বারের চ্যাম্পিয়নরা৷ কিন্তু বাবলু ভট্টাচার্যের সাদা-কালো ব্রিগেডের বিরুদ্ধে জয়ের রেশ কাটতে না-কাটতেই ঘরোয়া লিগে পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বাগানে স্প্যানিশ স্ট্র্যাটেজি৷ বাগানেরই একদা বাতিল ফুটবলার ক্রোমা সেদিন মাটি ধরিয়ে দিয়েছিল মেরিনার্স ডিফেন্সকে। তবে আগের ম্যাচেই পিয়ারলেসের বিরুদ্ধে বাগান ডিফেন্স নড়বড়ে থাকলেও এদিন সবুজ-মেরুন মাঠে বাগানের জয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখলেন ২০১০ বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন দেশের দুই ফুটবলার৷
বাগান জার্সিতে মরশুমের শুরু থেকেই নজর কাড়ছেন জোসেবা বেইতিয়া। ভিকুনার দলের প্রাণভ্রমরা তিনিই। এদিন তিনি ফুল ফোটালেন সবুজ-মেরুন বাগানে। খেল তৈরি, অনায়াসে দু-তিন জনকে কাটানোর পাশপাশি দলের দ্বিতীয় গোলটিও এল তাঁর পা থেকেই। শুরুতে গোলের সুযোগ পেলেও, ৩৪ মিনিটে এগিয়ে যায় মোহনবাগান। বেইতিয়ার কর্নার থেকে হেডে গোল করেন মোরান্তে। শূন্যে বল গোলে রাখার ক্ষেত্রে দক্ষ বছর সাতাশের এই স্প্যানিশ ডিফেন্ডার৷ ৫৩ মিনিটে গুরজিন্দারের গড়ান সেন্টার থেকে বাঁ পায়ে রিসিভ করে ডানপায়ের আউট স্টেপ দিয়ে গোল করেন বেইতিয়া।
এটিকে-র হয়ে ৭৮ মিনিটে একমাত্র গোলটি করে আশিস প্রধান৷ আশুতোষ মেহেতা ও শঙ্কর রায়ের ভুল বোঝাবুজিতে তালেগোলে গোল করে যান আশিস। এটিকে অবশ্য সেরা দল এদিনও নামায়নি। এমনকি শহরে আসেননি ফের এটিকে-তে নাম লেখানো স্প্যানিশ কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাসও।
ম্যাচের সেরা হন মোরান্তে। তিনি রক্ষণ আগলোনার পাশাপাশি গোলও করেন। কমল থাটালের দু’টি শট অসাধারণ সেভ করেন বাগান গোলরক্ষক শঙ্কর রায়। কলকাতা লিগের পিয়ারলেস ম্যাচে তিন গোল খাওয়া শিল্টন পালের জায়গায় এদিন পোস্টের নিচে আসেন শঙ্কর।
চতুর্থ রেফারি ৬ মিনিট ইনজুরি টাইম দেখালে ম্যাচের ৯৫ মিনিটে হাতাহাতি জড়িয়ে যায় এটিকে ও মোহনবাগানের ফুটবলার। দু’টি হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড খেয়ে মাঠের বাইরে যান সুরাবুদ্দিন।
ডুরান্ড কাপের এদিনের অপর ম্যাচে গোকুলাম কেরালা চেন্নাইয়ান এফসিকে হারিয়েছে ৪-০ ব্যবধানে। আরেকটি ম্যাচে এফসি গোয়া আর্মি গ্রিনকে হারিয়েছে ১-০ গোলে।