ইস্টবেঙ্গলের ডাই হার্ড ফ্যান, জন্ম বরিশালে। সেখানেই স্কুল জীবন। কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ থাকলে নাওয়া খাওয়া ভুলে যেতেন। চির-প্রতিপক্ষ মোহনবাগানের হারের কামনায় ‘তুক’ করতে নিজের জাভা মোটরবাইকটা নিয়ে গোষ্ট পাল সরণিতে এক চক্কর মেরে আসতেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজ্য বিধানসভার স্পিকার খুবই মর্মাহত। ইস্টবেঙ্গলের ডাই হার্ড ফ্যান, জন্ম বরিশালে। সেখানেই স্কুল জীবন কেটেছে তাঁর। কলেজ পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি হওয়ার পর ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ থাকলে নাওয়া খাওয়া ভুলে যেতেন। চির-প্রতিপক্ষ মোহনবাগানের হারের কামনায় ‘তুক’ করতে নিজের জাভা মোটরবাইকটা নিয়ে গোষ্ট পাল সরণিতে এক চক্কর মেরে আসতেন। তাঁর তখন মনে হত, ম্যাচের আগে মাঠের আশপাশ গিয়ে এক বার ঘুরে এলেই সবুজ-মেরুন ডাহা হারবে। হতোও নাকি তাই! কিন্তু রাজ্যের শাসক দলের এই বিধায়ক তথা বিধানসভার স্পিকার প্রিয় ক্লাবের শতবর্ষের অনুষ্ঠানেই ডাক পেলেন না। আর এর ফলে মর্মাহত হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক বরিশালের ছেলে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
১ আগস্ট ইষ্টবেঙ্গলের শতবার্ষের অনুষ্ঠানে নেতাজি ইন্ডোরে চাঁদের হাট বসেছিল। কে ছিলেন না সেই মঞ্চে! মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটু দেরিতে এলেও শুরু থেকেই ছিলেন কপিল দেব, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়দের মতো কিংবদন্তিদের পাশাপাশি ভারতীয় ফুটবলের প্রাক্তন ও বর্তমান তারকারা। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল তাদের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণভাবে রাজনীতি মুক্ত। তাই রাজৈনতিক নেতৃত্বদের আনাগোণা এদিন সেভাবে দেখা যায়নি।
বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন কিছুটা অভিমানের সুরেই বললেন, ‘ক্লাবের পুরনো অনেক সদস্যকেই আমন্ত্রণ করা হয়নি। বিধানসভার স্পিকার পদ একেবারেই অরাজনৈতিক হওয়া সত্ত্বেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। অথচ বিধানসভার নাকের ডগায় ক্লাবগুলো অবস্থিত। অথচ বিধায়কদের কোনও ম্যাচে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। এ ধরনের কাজ খুবই নিন্দাজনক। এ ধরনের কাজকে আমি নিন্দা করি।’
মর্মাহত বিমানবাবু বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন পড়তাম ইস্টবেঙ্গলের কোনও ম্যাচ বাদ দিয়েছি বলে মনে পড়ে না। বরিশালে আমার জন্ম। তবে ক্লাবের এই ধরণের আনন্দঘন অনুষ্টানের মধ্যে ব্যক্তিগত দুঃখ হতাশার প্রশ্ন তুলছি না। কিন্তু স্পিকারের পদকে মর্যাদা দেওয়া উচিত ছিল। প্রয়োজন পড়লে বিষয়টা নিয়ে আমি যথাস্থানে কথা বলব।’
এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে, লাল-হলুদের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বিমানবাবুর আবেগ অনুভব করতে পারছি। স্পিকারকে আমন্ত্রণ না জানিয়ে ক্লাবের দিক থেকে একটা ত্রুটি হয়েছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাঁর সঙ্গে দেখা করে এ ব্যাপারে দুঃখপ্রকাশ করা হবে ক্লাবের পক্ষ থেকে।’