শেষ টেস্টে অনবদ্য বোলিং করার জন্য ম্যান অফ দি ম্যাচ হন ইংরেজ বোলার জোফ্রা আর্চার
বিশ্বকাপ জয়ের পরে মনে করা হয়েছিল ইংরেজরা অ্যাসেজও নিজেদের দখলে রাখবে। কিন্তু জোর টক্কর দেয় অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ টেস্টের এই ঐতিহ্যশালী সিরিজে ২-১ এগিয়ে যায় অজিরা। কিন্তু শেষ টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ অমীমাংসিত রাখতে সক্ষম হয় জো রুট বাহিনী। বিগত ৪৭ বছর এই প্রথমবার অ্যাসেজ সিরিজ অমীমাংসিত রইল। শেষবার ১৯৭২ সালে এমন কাণ্ড ঘটেছিল। সেবারও অ্যাসেজের আসর বসেছিল ইংল্যান্ডে। গতবার নিজেদের দেশে অ্যাসেজ সিরিজে জয়লাভের ফলে এবার অ্যাসেজ ট্রফি নিজেদের দখলেই রাখল অজিরা। ওভালে সিরিজের শেষ টেস্টে জয়ের জন্য ৩৯৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়া অল-আউট হয়ে যায় ২৬৩ রানে৷ ইংল্যান্ড ১৩৫ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতায় পাঁচ ম্যাচের সিরিজ শেষ হয় ২-২ সমতায়৷ এর আগে ওভালে টস জিতে ইংল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া৷ প্রথম ইনিংসে ২৯৪ রান তুলে অল-আউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড৷ ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া মাত্র ২২৫ রানে অলআউট হয়ে যায়। অনবদ্য বোলিং করেন জোফ্রা আর্চার। ৬২ রানে নেন ৬ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একমাত্র রান করেন স্টিভ স্মিথ। তিনি করেন ৮০ রান। প্রথম ইনিংসে কিছুটা লিড পাওয়ার পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ড তোলে ৩২৯ রান। জো ডেনলি ৯৪ ও বেন স্টোকস করেন ৬৭ রান। প্রায় চারশো রান তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া শেষ ইনিংসে গুটিয়ে যায় মাত্র ২৬৩ রানে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ম্যাথু ওয়েড ১২৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। আর কেউ দাঁড়াতে পারেননি ইংরেজ বোলারদের সামনে। শেষ টেস্টে অনবদ্য বোলিং করার জন্য ম্যান অফ দি ম্যাচ হন ইংরেজ বোলার জোফ্রা আর্চার। অজিদের তরফে ম্যান অফ দি সিরিজ জেতেন স্টিভ স্মিথ এবং ইংরেজদের পক্ষে সিরিজ সেরা হন বেন স্টোকস। সিরিজে স্মিথ করেন ৭৭৪ রান।