সোমবার ইস্টবেঙ্গল মাঠে যাবেন তিনি। সেই সঙ্গে বল পায়ে স্কিলও দেখাবেন
শহরে মজিদ বাসকর। আশির দশকের বাদশা। কলকাতার একটি পাঁচতলা হোটেলে রয়েছেন। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে হোটেল। একটা মাছিও গলতে দেওয়া হচ্ছে না। তবুও মজিদের আগমনে কলকাতা ময়দান যেন ফিরে গিয়েছে আশির দশকে।
শনিবার ভোর রাতে শহরে চলে এসেছেন মজিদ। ভোর রাতেই মজিদকে দেখার জন্য কাতারে কাতারে বিমান বন্দরে উপস্থিত লাল-হলুদ জনতা। মধ্য রাতে ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের এমন ঢল দেখে রীতিমতো আপ্লুত হয়ে যান ময়দানের পুরনো জাদুকর।
পরিস্থিতি এমন তৈরি হয়েছিল যে শেষ পর্যন্ত নামার প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে বিমানবন্দর থেকে বের করতে হয় মজিদকে।
ভোর রাতে আসার জন্য ক্লান্ত ছিলেন মজিদ। রবিবার সকালে তাই হোটেলেই বিশ্রাম নেন তিনি। তবে বিকালে বন্ধু জামশেদ নাসিরির সঙ্গে সিসিএফসিতে যান। সেখানে তখন ম্যাচ চলছিল। ম্যাচ শেষে ফুটবলারদের সঙ্গে মিলিতও হন ইরানের জাদুকর। তবে ক্লাবের নির্দেশে ফের হোটেলে ফেরেন তিনি।
লাল-হলুদ ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সোমবার ইস্টবেঙ্গল মাঠে যাবেন তিনি। সেই সঙ্গে বল পায়ে স্কিলও দেখানোর পাশপাশি সাংবাদিক সম্মেলন করবেন মজিদ। বর্তমান ও পুরনো দিনের স্মৃতি রোমন্থন করবেন তিনি।
সূত্র বলছে মজিদকে নিয়ে একটি বায়োপিক করার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর একবন্ধুর। যদিও এই বন্ধুর নাম প্রকাশ করতে চাননি স্বয়ং মজিদ। জানা গিয়েছে , বায়োপিকের জন্য ইতিমধ্যেই চিত্র পরিচালকের খোঁজ করছেন তিনি। মজিদকে নিয়ে যদি সত্যি সত্যিই বায়োপিক তৈরি
করা হয় তাহলে অনেক পরিচালক আগ্রহ দেখাবেন বলে মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় সত্যি সত্যি বায়োপিক হয় কিনা।